(১) ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং-এ বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম গ্রহণযোগ্য নয় এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

(২) ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি-তে যেকোন বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ- ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ- ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।

পরীক্ষা পদ্ধতি

সময় : এক ঘন্টা ১০০ (একশত) নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস:

ক) বিএসসি ইন নার্সিং- বাংলা-২০, ইংরেজি- ২০, গণিত-১০, সাধারণজ্ঞান-২০, বিজ্ঞান-৩০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থ ও রাসায়ন)

খ) ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি/ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি- বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-১০, সাধারণজ্ঞান-২৫ বিজ্ঞান-২৫

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং প্রার্থীর MCQ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।

১. এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্তগণ জিপিএ-এর ৪ গুনিতক= ২০ নম্বর (সর্বোচ্চ)

২. এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর -এর ৬ গুনিতক= ৩০ নম্বর (সর্বোচ্চ)

৩. MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষা = ১০০ নম্বর

সর্বমোট= (২০+৩০+১০০)=১৫০ নম্বর

৪. লিখিত পরীক্ষায় ৪০ বা তদুর্দ্ধ নম্বর প্রাপ্ত উত্তীর্ণ মর্মে বিবেচিত হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকার ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অবশিষ্ট উত্তীর্ণ
প্রার্থীরা নির্ধারিত আসনে বেসকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদনে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বিএসসি ইন নার্সিং কি?

এটি নার্সিং-এর গ্রাজুয়েশন কোর্স।

ভর্তি যোগ্যতা: ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং-এর জন্য ভর্তি যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ ৭.০০। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ- ৩.০০-এর কম গ্রহণযোগ্য না এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ- ৩.০০ থাকতে হবে।

স্বীকৃতি: একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি’র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ‘নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স’ নামে রেজিট্রেশন পান।

৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং অত্যন্ত আকর্ষণীয় কোর্স। এ কোর্স শেষে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরিতে এন্ট্রি পোস্ট ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স’ (১০ম গ্রেড)। এছাড়া কোর্স শেষে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। নার্সিং কলেজে লেকচারার, ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল
বা নার্সিং অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কি?

প্রচলিত ভাষায় এটিই ডিপ্লোমা নার্সিং।

এটি বিএনএসসি’র অধীনে ৩ বছর মেয়াদী নার্সিং-এর একটি ডিপ্লোমা কোর্স। কোর্স শেষে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ করতে হয়।

ভর্তি যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসিতে একত্রে জিপিএ ৬.০০। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ- ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।

স্বীকৃতি: একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি’র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ‘নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স’ নামে রেজিট্রেশন পান। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরিতে এন্ট্রি পোস্ট ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স’ (১০ম গ্রেড)। বিপিএসসি নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর’
এ নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়া পদোন্নতির মাধ্যমে নার্সিং ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল, নার্সিং অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কি?

এটি বিএনএমসি’র অধীনে কেবল মিডয়াইফারি বিষয়ে ৩ বছর মেয়াদী একটি ডিপ্লোমা কোর্স। এখানে কেবল মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হয়।

ভর্তি যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসিতে একত্রে জিপিএ-৬.০০। তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না।

স্বীকৃতি: একাডেমিক কোর্স ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে বিএনএমসি’র সনদ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ‘নার্স ও মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার্স’ নামে রেজিট্রেশন পান।

কেন নার্সিং কোর্সে ভর্তি হবেন?

১। সরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র খরচে পড়াশোনার সুযোগ।

২। মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে নার্সিং-এ পড়ার সুযোগ।

৩। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ডিগ্রি লাভের জন্য বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ।

৪। নার্সিং-এ গ্রাজুয়েশনের পর এমএসসি, পিএইচডিসহ দেশি-বিদেশি ডিগ্রি লাভের সুযোগ।

৫। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ১০ম গ্রেডে (দ্বিতীয় শ্রেণি) চাকুরির সুযোগ।

৬। পদোন্নতির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ।

৭। বিএসসি ইন নার্সিং করে বিসিএস দিয়ে বিসিএস পররাষ্ট্র, বিসিএস প্রশাসন, বিসিএস পুলিশ, বিসিএস কাস্টমস, বিসিএস কর-সহ জেনারেল ক্যাডার অফিসার হওয়ার সুযোগ।

৮। জেনারেল শিক্ষার্থীদের ন্যায় সরকারি চাকুরিতে আবেদন ও চাকুরি লাভর সুযোগ।

৯। দেশে নার্সিং-এর পাঠ্যসূচিতে আন্তর্জাতিক কারিকুলাম অনুসৃত হওয়ায় উন্নত রাষ্ট্রে রয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

১০। দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ।

নার্সিং পড়াশোনা শেষে প্রথম শ্রেনির অফিসার হওয়ার সুযোগ
এন্ট্রি পোস্ট সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে সরকারি চাকুরিতে ১০ম গ্রেডে (২য় শ্রেণি) নিয়োগ দেওয়া হয়। সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে নিয়োগের পর পদোন্নতির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স তিন থেকে চার বছরে প্রথম পদোন্নতি পেয়ে নার্সিং সুপারভাইজার পদ মর্যাদা পান। দ্বিতীয় ধাপে ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট, ওটি সুপারভাইজার, নার্সিং কলেজে ইনস্ট্রাক্টর,
ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ হতে পারেন। এছাড়াও নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট, নার্সিং কলেজে প্রভাষক, ইনস্টিটিউটে প্রিন্সিপাল, নার্সিং অধিদপ্তরে প্রজেক্ট অফিসার ও সহকারি পরিচালক পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।

Scroll to Top