৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি কোর্স
মোট ক্লাস- ১২৮টি
প্রতিটি ক্লাস ২ ঘন্টা সময়কালের।
প্রতিটি ক্লাসের জন্য রয়েছে প্রিন্টেড আপডেট লেকচার শিট
৮ ধরনের পরীক্ষায় ১৬ হাজারের বেশি প্রশ্ন অনুশীলন।
যেকোন পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে জরিমানা।
৫ ধরনের পরীক্ষার জন্য জরিমানা রয়েছে। পরীক্ষাগুলো হলো- সাবজেক্ট টেস্ট, প্রিলি. প্রশ্ন পরিচিতি টেস্ট, জব সলিউশন টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট এবং সাবজেক্ট ফাইনাল।
ক্লাস টেস্ট
প্রতিটি ক্লাসের শুরুতে পূর্ববর্তী ক্লাসের উপর ২৫ নম্বরের ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়। ১৫টি MCQ এবং ১০টি লিখিত ফরমেটের । লিখিত ফরমেটে প্রশ্ন থাকবে অপশন থাকবে না, খালি জায়গায় উত্তর লিখতে হয়। ক্লাস টেস্টে মিনিমাম ১০ নম্বর না পেলে সেই ক্লাস পুনরায় করা বাধ্যতামূলক। ক্লাস টেস্টের জন্য কোন জরিমানা নেই।
প্রিলি. প্রশ্ন পরিচিতি টেস্ট
বিগত বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষার প্রশ্নসমূহের উপর (১০ম বিসিএস থেকে সর্বশেষ বিসিএস পর্যন্ত) ২০০ নম্বরের MCQ প্রশ্ন থাকে। এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করি। এর জন্য রয়েছে ওরাকল বিসিএস প্রিলি. প্রশ্নব্যাংক বইটি। পরীক্ষার পূর্বে ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় বইটি পড়ার জন্য। সাধারণত ভর্তির মাস খানেক পরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এটি একটি সহজ পরীক্ষা। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতে ৭০%-৮০% নম্বর পেয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ১০০ টাকা জরিমানা। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি কোর্স
সাবজেক্ট টেস্ট
২১ টি সাবজেক্ট টেস্ট রয়েছে। প্রশ্নের ধরন MCQ । সাধারণত ৪/৫টি ক্লাসের পর ঐ ৪/৫টি ক্লাসের উপর ভিত্তি করে ১০০ নম্বরের সাবজেক্ট টেস্ট নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে আমরা কোর্স প্লানের একটি নিদির্ষ্ট অংশের উপর শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি যাচাই করে থাকি। এ পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ৫০ টাকা জরিমানা।
সাবজেক্ট টেস্ট পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ধরে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীর সাবজেক্ট টেস্টের আওতাধীন অংশের পড়া কমপ্লিট হয়নি। কাজেই শিক্ষার্থীকে এই ক্লাসগুলো বাধ্যতামূলকভাবে আবার করতে হয়। কার্যত আমরা শিক্ষার্থীকে ধারণা দিতে চাই নিয়মিত পরীক্ষায় ৭০% এর কম নম্বর পেলে শিক্ষার্থীর প্রিলি. পরীক্ষায় ফেল করার আশংকা থাকে। ৫০% নম্বর জরিমানা এড়ানোর জন্য। আমরা এমনভাবে শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিস করিয়ে থাকি যেন সে নিয়মিত ৭০% বা এর অধিক নম্বর পেতে পারে। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি কোর্স
জব সলিউশন টেস্ট
১২টি ১০০ নম্বরের জব সলিউশন টেস্ট থাকে। প্রশ্নের ধরন MCQ। কয়েক মাস ক্লাস হওয়ার পর এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কোন এক বছরের সবগুলো প্রশ্নের উপর ১টি জব সলিউশন পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মাধমে আমরা জব সলিউশন বইয়ের ১২ বছরের প্রশ্নসমূহ পড়ানো হয়। এই পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ৫০ টাকা জরিমানা।
সাপ্তাহিক টেস্ট
৪৮টি ৫০ নম্বরের সাপ্তাহিক পরীক্ষা থাকে। এর মাধ্যমে বিসিএস প্রিলিমিনারির বইসমূহ পড়ানো হয়। এর ৩০টি প্রশ্ন লিখিত ফরমেটের, যাতে প্রশ্নে কোন অপশন থাকে না। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দাজে উত্তর দেবার প্রবণতা রোধ করার চেষ্টা করা হয়। কারণ প্রিলি. চূড়ান্ত পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং অর্থাৎ ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার বিধান থাকায় নিশ্চিত না হয়ে উত্তর দেয়া কঠিন। প্রশ্ন পত্রের মধ্যে খালি জায়গা রাখা হয় যেন শিক্ষার্থী উত্তর লিখতে পারে। এই পরীক্ষার জন্য জরিমানা নেই।
অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট
অ্যাসাইনমেন্ট টেস্ট মোট ১২টি। প্রতি মাসে ১টি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।এটি বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির একটি আয়োজন। সাধারণত প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট টেস্টে গড়ে ৩০০ প্রশ্নের একটি প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। বইপত্র ঘেটে এই প্রশ্নগুলোর লিখিত উত্তর অফিসে জমা দিতে হয়। এটি সাপ্তাহিক টেস্টের লংগার ভার্সন। শিক্ষার্থীদের উত্তর তৈরি ও জানার ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য এই পরীক্ষা। যারা অ্যাসাইনমেন্ট টেস্টে ভালো করেন তাদের অধিকাংশই বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ১০০ টাকা জরিমানা।
সাবজেক্ট ফাইনাল
বিসিএস প্রিলি’র বিভিন্ন বিষয়কে ৬টি ভাগে ভাগ করে ২০০ নম্বরের ৬টি সাবজেক্ট ফাইনাল নেওয়া হয়। প্রশ্নের ধরন MCQ। সাধারণত প্রিলি. কোর্সের শেষের দিকে এটি নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রিলি. গাইডগুলোকে আরো একবার রিভিশন করানো হয়। এই পরীক্ষায় ৫০% নম্বর না পেলে ১০০ টাকা জরিমানা।
মডেল টেস্ট
২০০ নম্বরের ১২টি মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। এটি বিসিএস প্রিলিমিনারির চূড়ান্ত পরীক্ষার অনুরূপ।এ পরীক্ষাটি সাধারণত বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষার ১ মাস পূর্বে নেওযা শুরু হয়। তুলনামূলক কঠিন এই পরীক্ষায় গড়ে ১১০ নম্বর প্রাপ্ত অধিকাংশই অতীতে বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য জরিমানা নেই।